Wednesday, April 30, 2025

ধনকুবের নাতির নেতৃত্বে ১০ বিলিয়ন ডলারের এআই ডেটা সেন্টার বিনিয়োগ

বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী রবার্ট কুয়োকের নাতি কুয়োক মেং ওয়ে পারিবারিক ব্যবসাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তি খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন, বিশেষ করে এআই-চালিত ডেটা সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে।

জোহরের প্রযুক্তি বিপ্লবে কুয়োক গ্রুপের অংশগ্রহণ

১৯৪৯ সালে রবার্ট কুয়োক এবং তার ভাইয়েরা মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন। ৭৫ বছর পর, সেই জোহর আজ একটি প্রযুক্তি হাব হয়ে উঠেছে। এখানে কুয়োক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান K2 Strategic তাদের ডেটা সেন্টার ব্যবসার সম্প্রসারণ করছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে, K2 Strategic জোহরের সেদেনাক টেক পার্কে একটি ৬০ মেগাওয়াটের (MW) ডেটা সেন্টার চালু করেছে। সিঙ্গাপুরের খুব কাছেই অবস্থিত এই পার্ক এখন বিশ্বের শীর্ষ ডেটা সেন্টার নির্মাতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

এআই-চালিত ডেটা সেন্টারের চাহিদা বাড়ছে

কুয়োক মেং ওয়ের মতে, “এআই-এর বিস্তার ডেটা সেন্টারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি গত কয়েক দশকের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল খাতগুলোর একটি।”

K2 Strategic বর্তমানে জোহরে তৃতীয় বৃহত্তম ডেটা সেন্টার অপারেটর, যেখানে Bain Capital-এর Bridge Data Centres (১২৬MW) এবং চীনা কোম্পানি GDS-এর DayOne (১১৫MW) এর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে তারা ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্লাউড সার্ভিস কোম্পানি এবং দ্রুত বর্ধনশীল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে।

৫ বছরে ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা

K2 Strategic আগামী পাঁচ বছরে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল।

সিঙ্গাপুর ২০১৯ সালে জমি ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেয়, যা ২০২২ সালে তুলে নেওয়া হয়। তবে ততদিনে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড এই খাতে বড় বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে শুরু করে।

ডেটা সেন্টার খাতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ

কুয়োক মেং ওয়ে বিশ্বাস করেন, এই খাতের দ্রুত বৃদ্ধি তাদের পরিবারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, যেমনটা তারা ১৯৭০-এর দশকে চীনে কৃষিপণ্য সরবরাহের মাধ্যমে সফল হয়েছিল।

তিনি বলেন, “এআই এবং ক্লাউড প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ডেটা সেন্টারের চাহিদা আশানুরূপভাবে বাড়বে, এবং আমরা এই সেক্টরে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চাই।”

সুত্র: forbes.com

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর