মৎস্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেছেন, “আমাদের সম্পদ সীমিত হলেও মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।”
এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৫৬ জেলার ১০৮ উপজেলায় ১১৩টি সরকারি মৎস্য খামার আধুনিকায়ন করা হবে।
বুধবার যশোরে আয়োজিত “বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়)” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য
কর্মশালায় প্রকল্পের পরিচালক মো. মশিউর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, সরকারি মৎস্য খামার আধুনিকীকরণ এবং উৎপাদন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নত মৎস্য প্রযুক্তি স্থাপন, উন্নত গুণসম্পন্ন মাছ সংরক্ষণ ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্য অধিদফতরের ৩১টি খামার সংস্কার করা হবে এবং প্রতিটি খামারের অন্তত একটি পুকুর যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হবে। এর ফলে খামারগুলোর মাছ উৎপাদনশীলতা হেক্টরপ্রতি ৭.৫ মেট্রিক টন থেকে ৪৭ মেট্রিক টনে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কার্যক্রম
- ২৭টি খামারে প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ অফিস ভবন ও ২৮টি লেবার শেড নির্মাণ।
- ২০টি খামারে ক্রায়োপ্রিজারভেশনের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন বৃদ্ধি।
- ৩২টি খামারে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের মাধ্যমে ৬.৪ মেগাওয়াট নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন।
- ২,৫৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, উদ্যোক্তা ও হ্যাচারি সংশ্লিষ্ট জনবলের প্রশিক্ষণ।
প্রকল্প ব্যয় ও বাস্তবায়ন
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরেই এর কার্যক্রম শুরু হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদফতরের খুলনা বিভাগের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার রফিকুল আ
