আজ মহা শিবরাত্রি। এই বিশেষ দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষজন ভগবান শিবের পূজা করেন। এই দিনে ভক্তরা উপবাস করে, শিবলিঙ্গে জল ও বেল পাতা অর্পণ করে এবং শিবের মন্ত্র জপ করে। ভক্তরা তাদের মনের সমস্ত কালিমা দূর করে শুদ্ধ ও পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করেন।
শিবরাত্রি পালনের পেছনে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত আছে। একটি কাহিনী অনুসারে, এই দিনে শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল। অন্য একটি কাহিনী অনুসারে, এই দিনে শিব তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। আবার, অন্য একটি কাহিনী অনুসারে, এই দিনে শিব লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
শিবরাত্রি হল অন্ধকার ও অজ্ঞতা দূর করার প্রতীক। এই দিনে উপবাস, পূজা ও মন্ত্র জপের মাধ্যমে ভক্তরা তাদের মনের অন্ধকার দূর করে জ্ঞান ও আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেন।
শিবরাত্রির দিন ভক্তরা বিভিন্ন শিব মন্দিরে গিয়ে পূজা অর্চনা করেন। অনেক জায়গায় শিবের শোভাযাত্রা বের হয়। কেউ কেউ বাড়িতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে পূজা করেন। সারারাত ধরে চলে শিবের মন্ত্র জপ ও স্তোত্র পাঠ।

শিবরাত্রি উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিবমন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছে। এর ধারাবাহিকতায় যশোরেও আয়োজনের নেই কমতি। যশোরের চাঁচড়ায় মাতা রাজনন্দিনী হরি কালী দূগা ও মনসা মন্দিরে সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ পূজা অর্চনা। ভক্তরা উপবাস থেকে শিবলিঙ্গে দুধ, জল, মধু, বেলপাতা নিবেদন করছেন। চলছে শিবের মন্ত্র জপ ও স্তোত্র পাঠ।
এ বিষয়ে কথা হয় মন্দিরের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সুজন সরকারের সাথে, তিনি বলেন এই বিশেষ দিনে আমরা সকলে মিলে দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদের সকলের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন।
-রাতদিন সংবাদ







