যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে জামদিয়া ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসান আলীর ছেলে মো. সাগর হোসেন (২০) তার স্ত্রী মোছা. পারভীন খাতুনকে (১৬) ১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার রাতে নিজ ঘরের ভেতর বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে লেপ-তোশকের নিচে লাশ লুকিয়ে রেখে সে পালিয়ে যায়।
পরদিন, ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে, আশপাশের লোকজন কোনো সাড়া না পেয়ে ভাবেন, পারভীন হয়তো ঘুমিয়ে আছে। তবে দুপুর গড়িয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ না মেলায় সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ঘরের দরজা খুলে দেখা যায়, লেপ দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তার নিথর দেহ পড়ে আছে।
ঘটনাটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং ভিটাবল্যা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য থানায় পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী ও পারভীনের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সে মনিরামপুর থানার বাসিন্দা এবং চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ছয় মাস আগে সাগরের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সাগর তার মায়ের সঙ্গে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতো। সেখানে থাকার সুবাদে একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং চারটি বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে।
ভিটাবল্যা ক্যাম্প ইনচার্জ জানান, সাগর মাদকাসক্ত ছিল এবং প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ জানায়, সাগরকে গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।