বাঘারপাড়া প্রতিনিধি: অর্থের প্রয়োজন আছে সমাজের প্রতিটা ব্যক্তির আর যদি সেই অর্থ উর্পাজনের মাধ্যম হয় সরকারী নিয়ম নীতিতে তাহলে তো প্রতিবন্ধকতা থাকবেই।সরকারী ছুটি ১৬ডিসেম্বর জাতীয় দিবসকে উপেক্ষা করে বাঘারপাড়ায় এন.জি.ও ম্যানেজারের কিস্তি আদায়।
এমনই ঘটনা যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলাতে।পৌরসভার মধ্যোই অবস্থিত এন.জি.ও জাগরণী চক্রের ম্যানেজার ওলিয়ার রহমান ও ফিল্ড কর্মী আযম আলী, করোনা কালীন সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম কৌশলে গ্রাহকের বাড়ীতে যেয়ে কিস্তি আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে বহু ভুক্তভোগী পরিবারের।
কিন্তু সম্প্রতি ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন যেখানে বাংলাদেশের সকল সরকারী বে-সরকারী স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেখানে মুক্তি যুদ্ধের কোন কার্যক্রম কিংবা বিজয় দিবসের কোন কার্যক্রম পালন না করে উল্টো বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে কিস্তি আদায় করছে বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার জাগরণী চক্রের ম্যানেজার ওলিয়ার রহমান ও ফিল্ড কর্মী আযম আলী ।
এদিন সকল দরিদ্রদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশক্রমে জেলখানা,হাসপাতাল,এতিমখানাসহ প্রতিটি জায়গায় একটু ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, সেখানে বিজয়ের দিনে এই ম্যানেজার দরিদ্রদের উপর চাপ প্রয়োগ করে বাড়ি বাড়ি যেয়ে কিস্তি আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এবং পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যেয়ে বিজয় দিবসের দিনও কিস্তি আদায় করেছেন।
স্থানীয়রা প্রশ্ন করলে ম্যানেজার তাদের বলেন আমি করবো আপনাদের সমস্যা কোথায় পারলে কিছু করে দিয়েন। এবিষয়ে জাগরণী চক্রের যশোর জেলার জোনাল ম্যানেজার আকমল কবিরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বিষয়ে আমার জানা নেই তবে সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে বন্ধের ভেতরে তার এ কার্যক্রম খুবই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অবশ্যই ম্যানেজার কে এবিষয়ে কৈফিয়েৎ তলব করা হবে। কি ভাবে আজ কিস্তি নিচ্ছে বা কোন আইনে নিচ্ছে তা আমারা খতিয়ে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক গ্রাহক ম্যানেজার ওলিয়ার রহমানের দুর্বব্যহারে ক্ষুদ্ধ হয়ে বিচার দাবী করেছেন । পাশা পাশি ওলিয়ার রহমান রহমান বাংলাদেশ সরকারের কোন আইনকে তোয়াক্কা করেন না বলেও সমালোচকরা দাবী করেন।







