Friday, December 5, 2025

কেশবপুরে আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অনেকেই

কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তের অনুসারীদের হামলায় বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতিসহ ১২জন  আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে । সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে মুক্তর নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।  এছাড়া চেয়ারম্যান মুক্তর সমর্থক কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক  সম্পাদক  মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বৈষম্যবিরোধীরা বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বুধবার বিকেলে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।  পরবর্তীতে বেলা ১২ টার দিকে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা পুনরায় কক্ষের তালা ভেঙে ফেলেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেনের সমর্থিত নেতা-কর্মীরা পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদের দিকে এগিয়ে গেলে চিংড়া বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন গুরুতর আহত হন।

কেশবপুরে আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অনেকেইবিএনপি সভাপতি আকরাম হোসেন সমর্থিত আহতরা হলেন, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার  সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আকাশ, মেহেরপুর গ্রামের রকি, চিংড়া গ্রামের ইসলাম মোড়লের ইউনুস হোসেন, একই গ্রামের মফিজের ছেলে আবু সাঈদ, ধর্মপুর গ্রামের রাহাজের ছেলে সাগর, বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে নাইম, গোপসেনা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রনি।

এদিকে, আহতদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন উপজেলা ছাত্রদলের নেতা। তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পিসহ জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে দেখতে যান। একই সাথে জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবি জানান।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এসময় সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নেরচিংড়া গ্রামের কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না ও কাজী মাজহারুল ইসলাম, গোবিন্দপুর গ্রামের মশিয়ার সানার ছেলে গোলাম মোস্তফা, শেখপুরার সবুর , একই গ্রামের মশিয়ারের ছেলে শাহাদাৎ আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কেশবপুরের ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। একটি গন্ডগোলও হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর