Wednesday, February 19, 2025

শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ

শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি: ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার ফল আমদানি বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে বাজারে ফলের দাম কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমদানি কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে ফলের বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্দর ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা এবং অন্যান্য ফলের ওপর আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করা হতো, যা প্রতি কেজিতে ১০১ টাকা শুল্ক কর নির্ধারণ করত। কিন্তু গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে, ফলে শুল্ক কর বেড়ে হয় ১১৬ টাকা। এতে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন গত ২৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানায়। দাবি মানা না হলে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থল ও নৌ-বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ফল আমদানিকারক শেখ মেহেদী হাসান জানান, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা আপাতত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ফল আমদানি বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকার বর্ধিত শুল্ক না কমালে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।

শুল্ক বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে ফলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে এক কেজি আপেল ৩০০-৩৬০ টাকা, মালটা ৩০০-৩২০ টাকা, কমলা ২৫০-৩০০ টাকা, আঙুর ৪৫০-৫০০ টাকা এবং ডালিম ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একজন ফল বিক্রেতা করিম বলেন, “মোকাম থেকে বেশি দামে ফল কিনতে হচ্ছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

ক্রেতা রহমত বলেন, “রমজানের আগে ফলের দাম এমনভাবে বাড়লে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।”

বেনাপোল বন্দর শ্রমিক আলী জানান, ফল আমদানি বন্ধ থাকায় বন্দরের শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

বেনাপোল বন্দর ওয়ারহাউজ সুপারিনটেনডেন্ট তানজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্মঘটের কারণে দুই দিনে প্রায় এক শ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হারাবে সরকার।

ফল আমদানিকারকেরা আশাবাদী, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং শুল্ক হার পুনর্বিবেচনা করবে। অন্যথায় বাজারের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে।

- বিজ্ঞাপন

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর