যশোরের ঝিকরগাছায় এক ন্যক্কারজনক ঘটনায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই অমানবিক কাণ্ডের শিকার হয়েছেন ফজিলা খাতুন নামের এক নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফজিলা খাতুনের ছেলে রায়হানের সাথে পার্শ্ববর্তী পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের মেয়ে বিথীর দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে বিথী একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শিমুলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
ঘটনার দিন ফজিলা বেগম তার সাবেক পুত্রবধূর সাথে দেখা করতে গেলে, সিরাজুল ওরফে ছ্যারার নেতৃত্বে একদল মহিলা তাকে ঘিরে ধরে নির্যাতন চালায়। তারা ফজিলা খাতুনের মাথার চুল কেটে দেয়, মুখে কালি মাখিয়ে দেয় এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে এবং জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করে। ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি সমাজের বর্বর মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং নারীর প্রতি সহিংসতার এক চরম উদাহরণ হিসেবে সামনে আসে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে।







