Tuesday, March 25, 2025

অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি: নতুন সম্ভাবনা

দেশের তৈরি পোশাক খাতে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে অপ্রচলিত বাজার। স্থানীয় কিংবা বৈশ্বিক সব প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই এসব বাজারে রপ্তানি বাড়ছে। বিশেষ করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো দেশগুলোতে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

বর্তমানে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতে বাংলাদেশ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের আশা, আগামী দিনে এই তিনটি বাজার আরও বড় হবে এবং প্রচলিত বাজার যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমান স্তরে উন্নীত হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি: করোনা মহামারির কারণে প্রচলিত বাজারগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ায় উদ্যোক্তারা নতুন বাজার খুঁজতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতি: এশিয়ার অনেক দেশের অর্থনীতি ভালো থাকায় সেখানে পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।
লিড টাইমের সুবিধা: এশিয়ার দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে পণ্য প্রস্তুত করে ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে কম সময় লাগে।

সরকার অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ এবং দেশের পোশাক খাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতাও চলছে।

বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে সরকারকে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। রোডশো, মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ধরনের দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

রপ্তানি বিশ্লেষকরা মনে করেন, আগামী দিনে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা আরও বাড়বে। এতে করে দেশের পোশাক খাত আরও শক্তিশালী হবে এবং রপ্তানি আয় বাড়বে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত প্রচলিত বাজারের উপর নির্ভর না করে নতুন বাজারে ফোকাস করছে। এই নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়ার ফলে দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় হবে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর