বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সংস্কারের ৯০ শতাংশই করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে ৩১ দফার সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বলা আছে, কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে সংস্কার সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার যশোর চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত “খুলনা বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান।
আমির খসরু বলেন, “সংস্কার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া টেকসই হবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর বা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকারই সংসদে সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করবে এবং তা বিল আকারে পাস করবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। অগণতান্ত্রিক সরকার বা সামরিক শাসকের মাধ্যমে সংস্কার জনগণ কখনো গ্রহণ করবে না। এটি গণতন্ত্রের মূলনীতি।”
অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির বাজেট ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত ছিল। পাঁচ মাস হয়ে গেল, কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন বাজেট ঘোষণা করেনি? জনগণের ওপর বর্ধিত শুল্ক চাপিয়ে দারিদ্র্য ও সংকট বাড়ানো হচ্ছে। এটি কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।”
সভায় খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তারা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা সমাধানে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ সময় প্রতিশ্রুতি দেন যে, নির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।