দেশের বাজারে শীতকালীন সবজির দাম এখন অনেকটা কমেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফুলকপি ৫-৮ টাকায় এবং শহরাঞ্চলে ১০-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির দামও কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। এর ফলে গত মাসে মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে।
সবজির দাম কমার প্রধান কারণ হলো সরবরাহ বাড়া। শীতকালে সবজির উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং ফলে দাম কমেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শীতের শেষে সরবরাহ কমে গেলে এবং রমজানের চাহিদা বাড়লে সবজির দাম আবারও বাড়তে পারে। এর ফলে মূল্যস্ফীতিও আবার বেড়ে যেতে পারে।
কেন বাড়তে পারে দাম?
- সরবরাহ কমে যাওয়া: শীতের শেষে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহও কমে যাবে।
- রমজানের চাহিদা: রমজান মাসে সবজির চাহিদা বেড়ে যায়।
- মূল্যস্ফীতির প্রভাব: সবজির দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজার মনিটরিং করা, শুল্কছাড়ের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা এবং সবজির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সবজি সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে। তবে রমজানের আগে বাজার স্থিতিশীল রাখা কতটা সম্ভব তা এখনই বলা যাবে না।
শীতকালীন সবজির দাম এখন কম থাকলেও রমজানে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।