গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। শনিবার ভোরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি রবিবার থেকে কার্যকর হবে।
চুক্তির অংশ হিসেবে, ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক পৃথক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।
এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় কাতারের রাজধানী দোহায়। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি জানান, ইসরায়েল ও হামাস দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তবে চুক্তি বাস্তবায়নের আগে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা শর্ত পূরণের ওপর জোর দেয়। ইসরায়েলের দাবি, হামাস চুক্তিতে নতুন শর্ত যোগ করতে চাচ্ছে। অন্যদিকে, হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জত আল রিশক এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠীর ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে এই সংঘাত শুরু হয়। সেই ঘটনায় ইসরায়েলের ১,২০০ জনের মৃত্যু এবং ২৫০ জন জিম্মি হওয়ার প্রতিশোধ নিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৯০ শতাংশ বাসিন্দা।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি গাজা উপত্যকার জন্য শান্তির এক নতুন আশার সঞ্চার করলেও এর ভবিষ্যৎ কতটা স্থায়ী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০১







