যশোর শহরতলীর আড়পাড়া মৌজায় জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন শেখহাটি এলাকার ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন। মঙ্গলবার যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
২০১৫ সালে আড়পাড়া মৌজার আরএস ১২৪৮ দাগের ৪৭ শতক এবং ১২৪৯ দাগের ৭২ শতক জমি (মোট ১২৯ শতক) আড়পাড়া গ্রামের মরহুম জামাত আলী তরফদারের ওয়ারিশ ফজলুল রহমানের কাছ থেকে ক্রয় করেন। দলিল অনুযায়ী জমির চৌহদ্দি নির্ধারণ করে জমি বুঝে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে জমির ভোগদখল করে আসছিলেন।
কিন্তু একই দাগের জমি রেকর্ডীয় সূত্রে মালিকানা দাবি করেন শহিদুল ইসলাম, যিনি আড়পাড়া শাহাপুর গ্রামের আব্দুস জব্বারের ছেলে। এ ছাড়া ওয়াহিদুল ইসলাম একই দাগে ১২ শতক জমি ক্রয় করেন।
ইমরান হোসেন অভিযোগ করেন, কয়েক বছর আগে শহিদুল ইসলাম ধানের বীজতলা তৈরির জন্য তার জমির রাস্তার পাশের অংশ ব্যবহারের অনুমতি নেন। পরবর্তীতে এ রাস্তা ব্যবহার করতে গেলে শহিদুল ইসলাম বাধা দেন এবং জমি দখল করার চেষ্টা করেন।
ইমরান হোসেনের ক্রয়কৃত জমির দলিলে চৌহদ্দি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে—উত্তরে সরকারি রাস্তা, দক্ষিণে ডিটু গং, পূর্বে ওয়াহিদুল ইসলাম গং এবং পশ্চিমে সিরাজুল ইসলাম গং। তবুও শহিদুল ইসলাম তার জমি দখলে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ২৩ জুন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করলে ইউনিয়ন পরিষদ নোটিশের মাধ্যমে শহিদুল ইসলামকে শালিসে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। শহিদুল ইসলাম তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনিকভাবে ইমরান হোসেনের জমি দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠে।
ইমরান হোসেন দাবি করেন, শহিদুল ইসলাম গত ২৯ ডিসেম্বর যশোর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে জমির মালিকানা দাবি করেন। এ বিষয়ে শুনানি হলেও প্রশাসন কোনো সমাধান করতে পারেনি।
ইমরান হোসেন জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে জমি উদ্ধারে আইনি লড়াই করছেন, কিন্তু এখনও কোনো সুরাহা পাননি। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং তার জমি উদ্ধারের অনুরোধ জানান।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১২







