“জ্ঞান যেখানে সীমিত, বুদ্ধি সেখানে থমকে যায়, আর মুক্তি সেখানে অধরা”—এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষাবিদ আবুল হুসেন ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’।
উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলার মুসলিম সমাজের শিক্ষার পিছিয়ে পড়া অবস্থা দূর করতে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। তার ১২৯তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “আজকের সমাজেও তার চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন অনুভূত হয়। আমরা এখনো অনেক ক্ষেত্রে সেই পশ্চাৎপদ অবস্থাতেই রয়ে গেছি।”
গতকাল ঢাকার প্রাচ্যসংঘে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আবুল হুসেনের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের একত্রিত করে ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ গড়ে তুলেছিলেন, যা মুক্ত চিন্তার বিকাশে এক অনন্য উদ্যোগ ছিল।
যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামে ১৮৯৬ সালের ৬ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া এই মনীষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাচ্যসংঘের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান, প্রাচ্য আকাদেমির অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেনসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, “বুদ্ধি ও জ্ঞানের মুক্ত চর্চা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতির সোপানে উঠতে পারে না।”
**আবুল হুসেনের শিক্ষা ও আদর্শ এখনও আমাদের ভবিষ্যৎ পথচলার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।**







