যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আজ রোববার প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক ও বালিকা) অনুষ্ঠিত হয়। খেলার উদ্বোধনী সময় সকাল ১০টায় নির্ধারিত থাকলেও প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসকের বিলম্বের কারণে শীত আর কুয়াশার মধ্যে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
সকাল ৮টার দিকে বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীরা বাসে করে ভেন্যুতে পৌঁছায়। মনিরামপুর, শার্শা, চৌগাছা ও সদর উপজেলার দলগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই উপস্থিত ছিল। খেলার পোশাক পরে শিক্ষার্থীরা মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল। আয়োজকরা ঘোষণা দেন, প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আসার পরই খেলা শুরু হবে। তবে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম ১১টা ২০ মিনিটে পৌঁছান।
হালকা পোশাক পরা শিক্ষার্থীরা তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। একজন শিক্ষার্থী জানায়, “খুব ভোরে বাসে উঠে ৮টার দিকে মাঠে এসেছি। এরপর থেকে দাঁড়িয়ে আছি। স্যারেরা বারবার বলছেন, ডিসি স্যার আসলেই খেলা শুরু হবে। কিন্তু শীতের মধ্যে এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে দুর্বল হয়ে পড়েছি।”
এক শিক্ষক বলেন, “শীতের মধ্যে এত সময় দাঁড়িয়ে রাখা ঠিক হয়নি। ১০টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আমরা ৮টায় এসেছি। অথচ দুই ঘণ্টা ধরে শীতের মধ্যে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।”
দুই ঘণ্টার বিলম্বের পর জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম মাঠে পৌঁছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম এবং প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম দাবি করেন, “শীতের মধ্যে শিক্ষার্থীরা মাঠে এসেছিল সত্য। তবে তারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কষ্ট পেয়েছে, এমন অভিযোগ ঠিক নয়।”
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে মাঠের পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার বিবরণ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
এই ধরনের আয়োজনে সময়ানুবর্তিতা ও শীতকালীন প্রতিকূলতা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।







