Sunday, September 28, 2025

যশোরে ফারহানা ইয়াসমিন একজন সফল কৃষি নারী উদ্যোক্তা

ওয়েব ডিজাইন — ওয়ান-টাইম স্টার্টার

৫,০০০.০০৳ ২,৫০০.০০৳

১–৩ পেজ • রেসপনসিভ • Elementor Pro • কন্ট্যাক্ট ফর্ম • বেসিক অন-পেজ SEO • ২ রাউন্ড রিভিশন • ১০GB হোস্টিং • ফ্রি ডোমেইন (প্রথম বছর)

এখনই অর্ডার করুন
NS IT Web Solutions
যশোরে সফল নারী উদ্যোক্তা ফারহানা ইয়াসমিন। যশোরের কাজিপুর মোবারককাটি এলাকার সৈয়দ আকরাম হোসেনের স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন একজন কৃষি নারী উদ্যোক্তা। তিনি কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন। তিনি ২০২২ সাল থেকে কেঁচো সার নিয়ে কাজ করছেন তার তৈরি এ সার জমিতে ব্যবহার করে এলাকার কৃষক বিষমুক্ত ফসল ও সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির গুণাগুণ ঠিক রাখতে কৃষকরা তার উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যাপকভাবে ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছেন।
ফারহানা ইসায়মিন ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থের পৃথক ১৮টি হাউজ তৈরি করেন। প্রতি হাউজে ৫ বস্তা গোবর ও আড়াই কেঁজি কেঁচো থেকে প্রতি মাসে প্রায় আড়াই মণ কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদিত হয়। সবমিলিয়ে প্রতি মাসে তার এ খামার থেকে প্রায় ৭৫ মণ কেঁচো সার উৎপাদন হচ্ছে। এ খামারে ৩জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষি নারী উদ্যোক্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, কৃষকেরা জমির গুণাগুণ ঠিক রেখে অল্প খরচে নিরাপদ সবজি ও ফসল উৎপাদন করতে পারে এ লক্ষ্যে আমি ভার্মি কম্পোস্ট খামার নিয়ে কাজ করছি। প্রতি মাসে আমার খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
তিনি শখের বশে ২০১২ সালে ৪ টা লেবু গাছের চারা দিয়ে তার উদ্যোক্তা জীবনে পা রাখেন।তারপর থেকে তার ছাদ বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০০ টবে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল, সবজি, বনজ, ঔষধি, শোভাবর্ধন গাছ লাগিয়ে যশোরে ব্যাপক সাড়া জাগায়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার এই ছাদ বাগান দেখতে আসে।তারপর তিনি ছাদ কৃষিতে ২০১৮ সালে জাতীয় কৃষি পদক পুরষ্কার পেয়েছেন। এবং তার কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া দিবসে “অর্থনৈতিতে স্বাবলম্বী নারী” ক্যাটাগরীতে জয়িতা পুরষ্কার পেয়েছেন। তিনি তার কর্মগতিকে দিন দিন আরো বৃহত্তর করতে নিজের বাড়িতে বায়োফ্লোকে মৎস চাষ শুরু করেন।এবং সেখানেও তিনি কৈ মাছ ওশিং মাছ উৎপাদন করে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তারপর আশেপাশের মানুষের কাছেও বিক্রি করেন। তিনি তার ছাদে ছাদবাগানের পাশাপাশি মুরগীর খামার করেন। তার মুরগীর খামারে ৩০০টি দেশী ও পাকিস্তানি মুরগী রয়েছে।এবং মুরগী থেকে ডিম সংগ্রহ করছেন। তিনি বলেন আল্লাহর রহমতে আমি আমার বাড়িতে উৎপাদিত ফল, সবজি, মাছ,মুরগী ও মুরগীর ডিম থেকে আমিষের চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশে বিক্রি করেও দেশের অর্থনীতিতে সামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছি। ফারহানা ইয়াসমিন সকলের নিকট থেকে দোয়া কামনা করেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৩
আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর