
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক শিকদারের ছেলে রইচ শিকদার, একই গ্রামের সরদারপাড়ার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে তুহিন, মডেল কলেজ রোড সংলগ্ন আক্কাস মোল্যার ছেলে রফিক, একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার ছিদ্দিক শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, একই পাড়ার কালা চাঁদের ছেলে তরিকুল ইসলাম ও নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে হান্নান।
মামলার বাদী শারমিন নাহার জানান, স্বামী হত্যার সঠিক বিচার এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমি মামলা করেছি। হত্যার পর থেকে আমার দুই শিশু সন্তানসহ পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম জানান, মামলার প্রধান আসামি রইচ শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে অভয়নগরের বেঙ্গল রেলগেট সংলগ্ন সাইদুর রহমান ঘাটের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে পলাশের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় প্রধান আসামি রইচ শিকদারকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে এলাকাবাসী অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১২







