বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাতদিন নিউজসহ বিভিন্ন গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সমালোচিত সেই পায়েল হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এরআগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতদিন নিউজে চাঁদাবাজিতে মেতেছেন চৌগাছার ওসি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা জেলা পুলিশের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এছাড়া সম্প্রতি ওসি পায়েলের সাথে একটি মেয়ের অশালীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রোববার সকালে পুলিশের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পায়েল হোসেনকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। চৌগাছা থানার তদন্ত ওসি কামাল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,চৌগাছা থানায় যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন পায়েল হোসেন। বিশেষ করে নীরিহ মানুষকে টার্গেট করে তাদের কাছথেকে চাঁদাদাবি করতেন তিনি। নিজ বাঙলোতে বানিয়েছিলেন টর্চার সেল। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গড়ে তোলেন সখ্যতা। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছথে মরগড়া চাঁদা নেয়া তার নেশায় পরিণত হয়েছিলো। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষের হয়ে কাজ করা শুরু করেন। ওই পক্ষের হয়ে অপর পক্ষের উপর নির্যাতন শুরু করেন। এমনকি তিন দিন এক মাদক ব্যবসায়ীকে নিজ রুমে আটকে রেখে বিদ্যুত শক দিয়ে নির্যাতন করেন তিনি। পরে তিন লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন। না দেয়ায় তিনটি মামলা দিয়ে ওই যুবককে আদালতে চালান দেন তিনি। এরবাইরেও চৌগাছার এক ব্যবসায়ীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেন তিনি। যদিও ওই ব্যবসায়ী নিজেও সমালোচিত। তবে, একজন ব্যবসায়ীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাটা মেনে নিতে পারেনি। চৌগাছার ব্যবসায়ী সমাজ। এসব বিষয় নিয়ে রাতদিন নিউজে গত ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে, জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায় গ্রামেরকাগজের সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয় পুলিশ। এছাড়া সম্প্রতি ওসি পায়েলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওসি পায়েল একটি মেয়ের সাথে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছেন। আবার কখনো হাসতে হাসতে ওই নারীকে বিভিন্নভাবে অশালীন ইঙ্গিত দিচ্ছেন। একপর্যায়ে নিজের শরীর প্রদর্শন করেন পায়েল। পায়েলের সার্বিক কর্মকান্ডে পুলিশের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়। ফলে তাকে ক্লোসড করা হয়। একই সাথে পায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওসি পায়েলের কর্মকাণ্ডে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১২







