যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পদ্মবিলা রেল জংশনে ঢাকাগামী ট্রেন থামার দাবিতে অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার বিকেলে ট্রেন থামিয়ে এলাকাবাসী অবরোধ করেন। অবরোধকারীরা পদ্মবিলা জংশনে অন্তত দুই মিনিট ট্রেন থামার দাবি তোলেন।
অবরোধে বক্তারা বলেন, পদ্মবিলা রেল জংশন করা হলেও এখানে কোন ট্রেন থামছে না। ঢাকাবাহী খুলনা ও যশোরের ট্রেন রওনা হয়ে নড়াইল থামছে। বাঘারপাড়ার রাধানগর গ্রামে পদ্মবিলা রেল জংশন হয়েছে। ট্রেন যোগাযোগ সহজিকরণের জন্য গ্রামবাসী নামমাত্র মূল্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জমি দিয়েছে। যশোর, খুলনার সব ট্রেন থামার জন্য এখানে জংশন করা হয়েছে। জংশনে সব ধরণের ট্রেন থামে। যশোর ও খুলনা অঞ্চলের একটি বড় জংশন করার উদ্দেশ্যে সব পরিকল্পনা পদ্মবিলা জংশনে সম্পন্ন করা হয়েছে। স্টেশন মাস্টার, টিকিট কাউন্টার, রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আবাসিক ব্যবস্থাসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্ত কোন এক অদৃশ্য কারণে এই জংশনে কোন ট্রেন থামানো হচ্ছে না। অতিদ্রুত এখানে ট্রেন না থামলে এলাকাবাসী কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এ অঞ্চল দিয়ে কোন ট্রেন চলাচল করতে দেয়া হবে না।
অবরোধে অধ্যাপক আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন আমিরুল ইসলাম বুলু, জিল্লুর রহমান, শিক্ষক আহসানুল বান্না সুমন, মহিবুল ইসলাম, তানজিরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, শাহীন শিকদার, জুলফিকার হোসেন, মহিবুল ইসলাম, বুলবুল আহমেদ, রুবেল বিশ্বাস, সবুজ মোল্লা, মামুন কবির মিঠু, তবিবর রহমান, আবুল কালাম ও হাফিজুর রহমান।
বাঘারপাড়া উপজেলার রাধানগর, বাগডাঙ্গা, ঘোষনগর, ওয়াদিপুর, ঘুনি, জামালপুর, মাহমুদপুর, বাসুয়াড়ি, জয়রামপুর, ষাটখালী, রাধানগর, হাটবিলা, গাটগাছি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ রেল জংশনের পাতের উপর শুয়ে অবরোধ করেন। আধাঘণ্টা ট্রেন আটকিয়ে রাখেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৮







