দুই বেডের মাঝখানে মাত্র এক বা দুই ফুটের দূরত্ব। একটি রুমের মধ্যে সাজানো ১৫, ২০, ৩০ কিংবা ৫০টি বেড। হয়তো এ রুমের ধারণক্ষমতা ৫০ জন। কিন্তু ডাবলিং করে থাকছেন ১০০ জন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীদের ছয়টি হলের চিত্র অনেকটাই এ রকম। কয়েকটি গণরুমে গাদাগাদি করে থাকেন প্রায় দেড় হাজার ছাত্রী।
খালেদা জিয়া হলের গণরুমে থাকা দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাইরে থেকে প্রথমবার কেউ গণরুমগুলোকে আসলে বস্তির সঙ্গে তুলনা করেন। শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। চারটি গণরুমের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য বাথরুম মাত্র আটটি, তার মধ্যে দুটি বাথরুমের দরজা আটকানো যায় না। মন্নুজান হলের গণরুমে থাকা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গণরুমের পরিবেশ একদমই অস্বাস্থ্যকর। আমাদের পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নেই। হলে নেই ওয়াইফাই সুবিধা। মাঝেমধ্যেই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়, ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট হয়। সবসময়ই ঝুঁকিতে থাকি। এছাড়া রান্নার কোনো পরিবেশ নেই বললেই চলে।
জানতে চাইলে মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ আশিয়ারা খাতুন বলেন, আমরা সার্বিকভাবে মনিটরিং করে ছাত্রীদের সমস্যা খতিয়ে দেখছি। ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করছি। উপাচার্য স্যারের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো নিরসনে কাজ শুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব বলেন, আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সমস্যাগুলো প্রশাসন অবগত। হল প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি। হলে ওয়াইফাই সুবিধা থেকে শুরু করে বাথরুমের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল নির্মাণাধীন। সেখানে সিট সংখ্যা এক হাজার। ফলে কিছুটা সংকট কাটিয়ে নতুন করে জায়গা দেওয়ার সুযোগ হবে।
অনলাইন ডেস্ক।







