বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সাবেক পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন বেনাপোলের সুমন হোসাইন নামের এক সাংবাদিক। অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা সিআইডি যশোর জোনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী সুমন দৈনিক নওয়াপাড়ার বেনাপোল প্রতিনিধি। বেনাপোল স্থল বন্দর উন্নয়নে একটি টার্মিনালের কাজ চলছিলো। গত ২৩ আগস্ট ওই কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা তা দেখতে যান তিনি। সেখানে যেয়ে দেখেন ওই টার্মিনালের ফ্লোরে রড না দিয়েই ঢালাইয়ের কাজ চলছে। তা দেখে সুমন নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর মোবাইল ফোনে হটসআপের মাধ্যমে পাঠান। এমনকি এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য কামনা করেন। পরে চেয়ারম্যান তাকে বেনাপোল স্থল বন্দরের রেস্ট হাউজে আসতে বলেন। সুমন সেখানে যেয়ে দেখেন দুইজনই সেখানে বসে ছিলেন। পরে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করতে তারা নিষেধ করেন।
এক পর্যায় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন আসামিরা। একই সাথে সুমনের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন। অন্যথায় মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ভয় দেখান। এছাড়া, এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হলে সুমনকে খুনের হুমকি দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সমাজকল্যান মুন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের আপন জামাই। সেই ক্ষমতায় তিনি নানা ধরণের অপকর্ম করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সুমনের রড না দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে তারা তদন্ত করেছেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এছাড়া তিনি বলেন, সুমনকে তিনি ডেকে ছিলেন। কিন্তু কোনো চাঁদাদাবি করেন নি। সুমন তার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেছেন। সাংবাদিক সুমন বিভিন্ন সময় অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তা না দেয়ায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন জিল্লুর রহমান।
রাতদিন সংবাদ







