যশোর প্রতিনিধি :সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারনে সোমবার দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে সোমবার আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।দু’পারের বন্দরে জন্মাষ্টমীর সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি রপ্তানি ও বন্দরের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি রপ্তানি ও বন্দরের কাজকর্ম চলবে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ফারুক হোসেন বলেন,জন্মাষ্টমীর সরকারি ছুটি থাকলেও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ভাবে চলছে।যশোরে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুলকে হত্যার অভিযোগে দীর্ঘ ১১ বছর পরে আটজনকে আসামি করে আদালতে
যশোর প্রতিনিধি
যশোর উপশহর এলাকার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুলকে হত্যার অভিযোগে দীর্ঘ ১১ বছর পরে আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার নিহত বুলবুলের ভগ্নিপতি মনিরামপুরের হালচা গ্রামের মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছে, শহরের নতুন উপশহর সি ব্লকের মৃত সৈয়দ মনজুর আলমের ছেলে মনসুর আলম, বিরামপুর গামতলা এলাকার মৃত মোকাম হোসেনের ছেলে হাদিউজ্জামান চিমা, উপশহর ১১ নম্বর সেক্টরের ইউনুচ বেগের ছেলে সেতু, বিরামপুরের জলিল ড্রাইভার এর ছেলে হাস লিটন, ঘোপ বউবাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে টাক শিপন, ঘোপ কবরস্থান এলাকার রফিকুলের ছেলে তামিম, সদরের সিরাজ সিনহা গ্রামের আবু চিটারের ছেলে কামরুল ও একই গ্রামের এখলাছ ফকিরের ছেলে বরাত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম গোলাম কিবরিয়া এক আদেশে বুলবুল হত্যাকা-ের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে সাত কার্য দিবসের মধ্যে কোতোয়ালি থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমাদার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গাজী এনামুল হক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল হাই সিদ্দিকী বুলবুল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি তার উপশহরের বাসার কম্পিউটারে বসে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বাসায় বেড়াতে যান। তিনি রুমে ঢোকার সময় বাইরে মনসুর, চিমা, টাক শিপনসহ অন্যান্য আসামিরা বাড়ির সামনে রাস্তায় অবস্থান করছিলো। কিছু সময়ের মধ্যে মনসুর জানালা দিয়ে বুলবুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত বুলবুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ক্ষমতাশীন দলের সদস্য হওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি বাদী পরিবার। সরকার পতনের পর পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় এ মামলা করেন।
উল্লেখ্য, এ মামলার দুই আসামি টাক শিপন খুন ও হাস লিটন সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন।
এস বি-২০







