নেপালের পার্লামেন্টে আস্থাভোটে হেরে দায়িত্ব ছেড়ে বিদায় নিতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল (প্রচন্ড)। তিনি মাত্র ১৯ মাস দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
শুক্রবার নেপালের পার্লামেন্টে আস্থাভোটে উপস্থিত ২৫৮ জন আইন প্রণেতার মধ্যে ১৯৪ জন দাহালের বিপক্ষে ভোট দেন এবং মাত্র ৬৩ জন তার পক্ষে ভোট দেন। ভোটদানে বিরত থাকেন মাত্র একজন।
মূলত, গত ৩ জুলাই দাহালের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় ক্ষমতাসীন জোটের সবচেয়ে বড় দল উদার কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসবাদী লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টি। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে দাহালকে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়।
ক্ষমতা ধরে রাখতে ২৭৫ সদস্যের কমপক্ষে ১৩৮ ভোট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এ কাজে তিনি ব্যর্থ হন। ফলে দাহালকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হবে, যা একটি নতুন জোট গঠনের পথ প্রশস্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইউএমএল সমর্থনেই তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক দশকব্যাপী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে আসা সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দাহাল। যিনি ‘প্রচন্ড’ নামেও পরিচিত ছিলেন। যার অর্থ ‘ভয়ানক’ বা ‘উগ্র’। গত ১৯ মাসে দাহালের বিরুদ্ধে চারটি আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হয়, তবে তিনি সবগুলোতেই টিকে যান। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হলো না।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সরকারে ঘন ঘন পরিবর্তন এবং দলগুলোর মধ্যে কলহের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নেপাল। যার কারণে সংবিধান রচনায় বিলম্ব এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধীর হচ্ছে। হিমালয় এ জাতিটি রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার পর ২০০৮ সাল থেকে ১০টি সরকারের পরিবর্তন হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক/ আর আেই







