Friday, December 5, 2025

জমি নিয়ে দ্ব›দ্ব মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলণ

যশোরের হামিদপুরে জমি নিয়ে দ্ব›েদ্ব অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নুরুল ইসলামের পক্ষে সংবাদ সম্মেলণ করেছে যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা। রোববার বেলা ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলণ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা জাসদ সভাপতি রবিউল আলম।

তিনি বলেন, মাস্টার নুরুল ইসলাম ১৯৮০ সালে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা শিল্প ব্যাংক থেকে লোন নেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি দুই এক ৯৭ শতক জমি ওই ব্যাংকের অনুকুলে বন্ধক রাখেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ডাকাতি হওয়ার কারণে তিনি লোন পরিশোধে ব্যর্থ হন। এঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এর মাঝে ওই এলাকার আসাদুজ্জামান ১৯৯২ সালের ১০ মে নিলামে দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকায় দুই একর ৯৭ শতক জমি কেনেন। কিন্তু অতিরিÍ ৩৫ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল করে রাখেন। পরিবর্তিতে এ ঘটনায় মামলা হয়। যা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াই।

আদালত থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে স্বীদ্ধান্ত হয় আসাদুজ্জামান অবৈধ ৩৫ শতক জমি দখলে রেখেছে তার কোনো সুযোগ নেই। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২১ জুলাই মাস্টার নুরুল ইসলাম ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করে দিলে দায়মুক্ত হন।

একই সাথে এ মামলাটি নিস্পত্তি হয়। পরবর্তিতে আসাদুজ্জামান যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আদালতে আসাদুজ্জামান আপীল করেন। কিন্তু আপিল না মঞ্জুর হয়। পরপর্তিতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আদালতে আপীল করলে এ আদালত সাটিফির্কেচ আদালতের রায় বহাল রেখে আসাদুজ্জামানের আপীলটি না মঞ্জুর করেন।

তিনি বলেন, একজন অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা যিনি হাসপাতালে ভর্তি থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এমন সময় তার সম্পত্তি অন্যরা দখলে নিয়ে নেবেন তা কিছুতেই মেনে নিবেন না । তারা এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে মাস্টার নুরুল ইসলামের ৩৫ শতক জমি দখল ফিরিয়ে দিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজহারুল ইসলাম মন্টু, আবুল হোসেন, নজরুল ইসলাম চাকলাদার মন্টু, আব্দুস সাত্তার, শেখ আব্দুল রাজ্জাক, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, আমিরুল ইসলাম রন্টু,আফজাল হোসেন দুদলসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি যশোর সদরের হামিদপুরের জমি নিয়ে দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরমাঝে অভিযোগ উঠে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের লোকজন ওই বাড়ি ভাঙচুর করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও হয়।

সর্বশেষ শহিদুল ইসলাম মিলন তার ও তার ছেলের এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয় প্রমান দেখাতে পারলে ৩৫ লাখ ও আসাদুজ্জামান ওই জমির বৈধ কাগজ দেখাতে পারলে আরও ১০ লাখসহ মোট ৪৫ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষনা করেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

 

আর আই-০২

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর