Friday, December 5, 2025

মণিরামপুরে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ মেম্বরের

শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ ঘটনা তদন্তের সময় প্রকাশ্যে ওই চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ জীবননাশের হুমকী প্রদান করেছে।

ঘটনার পর ইউপি সদস্য শাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জাকির হোসেনের নিকট লিখি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ ৫ জুন প্রতিবন্ধী ভাতা বই ও প্রাপ্য ১০ হাজার ২শ টাকা বিতরণ করার সময় জোরপূর্ক ১৬ শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা কর্তন করে বাকী টাকা প্রদান করেন। বিষয়টি আচ করতে পেরে আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। গোপনে ডিভিও করার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান জানতে পেরে তাকে ডেকে এলোপাতড়ি মারপিট করাসহ মোবাইল ফোন জোর পূর্বক কেড়ে ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনায় আমির হোসেন বাদি হয়ে ৯জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামান, মিজানুর রহমানসহ ৫ জন তদন্ত কমিটি ২ জুলাই ইউনিয়ন পরিষদে যায় এবং তদন্ত কমিটি সকল মেম্বরদের বাধ্যতা মুলক উপস্থিত থাকার জন্য দাবী করেন। প্রত্যেক মেম্বরদের কাছে আলাদা আলাদা গোপন তথ্য শুনার পর ৭নং ওযার্ডের ইউপি মেম্বর শহিদুল ইসলামকে ডাকলে চেয়ারম্যান মেম্বরকে অকধ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বাকী আড়ায় বছর পরিষদে আসতে নিষেধ করেন। আরো বলেন, পরিষদে আসলে তোর হাত, পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি ও সাধারণ মানুষের সামনে প্রকাশ্যে ওই চেয়ারম্যান ইউপি মেম্বরকে জীবন নাশের হুমকী দেওয়াতে মেম্বর আবারও নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেন এবং বলেন সরকারী বরাদ্ধকৃত সকল অর্থ চেয়ারম্যান ও সচিব আত্মসাৎ করে আমাদের উপর দোষ চাপান।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতা রোকনুজ্জামান জানান, আমি শুনেছি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর মধ্যে বাকবিন্ডা হয়েছে। আমি রুমের মধ্যে তদন্ত কাজ করছিলাম। চেয়াম্যান প্রতিবন্ধী ভাতা টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা তদন্ত করেছি এবং তদন্ত এখনো চলছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, আমি জীবনে কোন দিন কারো গায়ে হাত তুলিনী। সে যদি ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করে থাকে তা ভুল।

ভুক্তভোগি মেম্ববর শহিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটি আমাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য ডাকলে আমি অফিসের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এমনকি পরিষদে আসলে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ জীবন নাশের হুমকী প্রদান করেন। আমি নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জাকির হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।

আর কে-০৭

 

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর