কাঁঠালিয়া সংবাদদাতাঃ
অতনু কিশোর দাস মুন ও তার অনুসারীরা কিছুই অনৈতিক কাজ ছাড়েননি” এমনকি জাতীয় শোক দিবসে দুস্থদের খাওয়ানোর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও তারা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন”। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থও এর বাইরে ছিল না”।
অতনু কিশোর দাস মুন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এমন অজস্র অভিযোগের বিশদ বিবরণ পাওয়া গেছে”জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতে এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায়””১৬ ডিসেম্বরের প্রোগ্রামের টাকাও আত্মসাৎ করে, সাউন্ড সিস্টেম মোটেই ভালো ছিল না, তা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রোগ্রামের ও সাউন্ড সিস্টেমের বিরুদ্ধে ক্রদ্ধ প্রতিবাদ করেছেন এবং দেখা গেছে বারবার মাইকটি বন্ধ হয়ে গেছে’এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থা নিয়েছে “এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া যায়, ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রোগ্রামে দুর্নীতি করছে বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধা পরিবার’রা”।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কাঠালিয়া মাঠে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং এ জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে অর্থ দেওয়া হয় এখনো একই অবস্থা”করোনাভাইরাস মহামারির কারণ-বিধি-নিষেধের কারণে তখন উন্মুক্ত জায়গায় সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল এবং এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান না -করেই ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করেছে অতনু কিশোর দাস মুন।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলাধীন কাঠালিয়া উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহকারী প্রোগ্রামার অতনু কিশোর দাস মুনের বিরুদ্ধে দুনীতি সহ নানা ধরনের অভিযোগ, কাঠালিয়া ব্যবসায়ী’রা বলেন”অতনু কিশোর দাস মুন সে আমাদের কাঠালিয়া থেকে কোন কিছুই সংগ্রহ করে না, উপজেলা প্রশাসনের কোনো মিটিং করলে আমাদের থেকে কিছু নেন না- কাঠালিয়ার বিভিন্ন শিল্পী সমিতির সাথে কথা বলে জানা যায় তার নিজ বাড়ি বরিশাল বিভাগে তাই সে সব কিছু বরিশাল থেকে অনেন এবং বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের গিফটের জিনিস সে নিজেই আত্মসাৎ করে ব’লে জানান সাংবাদিক’রা।
বতর্মান কর্মস্থালে যোগদান করেন ০৬ আগষ্ট – ২০১৮, কাঠালিয়ায় দীর্ঘদিন অবস্থান করায় নিজের মনের মতনই কাজ করেন – বিভিন্ন প্রোগ্রামের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করে তার নিজের একান্ত লোক দিয়ে কাজ করান -তা নিয়ে কাঠালিয়া বাজারে চায়ের দোকানে বিভিন্ন কানা ফুসফুঁসি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এতে উপজেলা ইউএনওর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ-জনগণ-সুশীল সমাজ-রাজনৈতিক নেতারা-সাংবাদিকবৃন্দ’রা।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সহকারী প্রোগ্রামার অতনু কিশোর দাস মুনের মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে অভিহিত করেছেন-তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অন্যতম সচিবের কাছে অতুনুর বিভিন্ন অনৈতিক কাজ এবং অসদাচরণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা এসকল বিষয়ের সব সময় খোঁজ খবর নেই এবং দ্রুত গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করি কিন্তু তারপরও ফাঁক থেকে যায় এজন্য তো আপনারা আছেনই এবং আপনাদের পক্ষ থেকে আমরা জানতে পারলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।







