Saturday, April 27, 2024

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে জয়ার শেয়ার করা স্ট্যাটাস ভাইরাল

- Advertisement -

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সিনেমার পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকেন তিনি। কিছুদিন আগে হাতি রক্ষায় হাইকোর্টে রিট করে আলোচনায় আসেন জয়া। এবার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি জয়ার ফেসবুকে দেখা মিলল কওমি মাদরাসার বাচ্চাদের নিয়ে একটি পোস্ট। যদিও সেটি জয়ার লেখা নয়, অন্য কারো লেখাই নিজের পেজে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সেটা উল্লেখও করেছেন তিনি।

জয়ার সেই ফেসবুক পোস্টে লেখা ছিল- ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদরাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদের বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে কেউ নিতে আসে না। এদের কারও বাবা-মা নেই, কারও বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা-খালা-চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে।’

‘তারা জানে তাদের কেউ নিতে আসবে না। তারা সারাবছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদের সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদের কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা-বাবার ওপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদের দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেলেন? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারতেন না? মা বাবা বেঁচে নাই তো কী হইছে? মামা চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেঁচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।

সবাইকে অনুরোধ করে সেই পোস্টে আরও লেখা ছিল, ‘একটা অনুরোধ-এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেন পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ সহায়ক হয়।’

জয়ার এমন পোস্টকে ভক্তরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই তার সঙ্গে সম্মতি প্রদান করেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘একটা সত্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ কেউ আবার এই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাহায্য এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত