জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৩৬৫ ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ৪০ হাজার ২১৬ টাকা, এক ডলার ১১০.২৩ টাকা ধরে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৬২ হাজার ৩১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সাময়িক)। যার মধ্যে বহুপাক্ষিক ৩৬ হাজার ৭৮১ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বিপাক্ষিক ২৫ হাজার ৫৩১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭০ দশমিক ৭৯ মিলিয়নের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৪ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলার।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে বিশ্বব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১৯ হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৪ হাজার ১১৪ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, রাশিয়া থেকে ৫ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, চীন থেকে ৫ হাজার ৩৭৪ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার, এআইআইবি ১ হাজার ৫০৪ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার, ভারত থেকে ১ হাজার ২৯৯ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেয় বাংলাদেশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সুদ বাবদ ৯৩৫ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ডলার এবং আসল বাবদ এক হাজার ৭৩৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সুদ বাবদ এক হাজার ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আসল বাবদ ২ হাজার ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধে বাজেট আছে।