Monday, April 29, 2024

গাজীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের পঞ্চম দিন

- Advertisement -

গাজীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের পঞ্চম দিন আজ শনিবার। সকালে গাজীপুর নগরের কোনাবাড়ী এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এক পাশে অবস্থান নেন। এতে অপর পাশ দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলতে থাকে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ভাষ্য, ন্যূনতম মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

কোনাবাড়ী তুষকা নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক আমানা আক্তার বলেন, “আমাদের এখন বেতন ৮ হাজার টাকা। এই টাকায় আমাদের সংসার চলে না। এই কারণে আমরা চাই, আমাদের বেতন যেন ২৩ হাজার টাকা করা হয়।”

আন্দোলনকারী শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন সবকিছুর দাম বেশি। তাই বর্তমান বেতন দিয়ে চলতে পারেন না। গ্রামে স্বজনদের টাকা পাঠাতে হয়। সেই টাকাও এখন ঠিকমতো পাঠাতে পারেন না। সারা মাস ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

আজ সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে কোনাবাড়ী ও চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় সব কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। চন্দ্রা এলাকায় পুলিশের জল কামানও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

আজ দুপুর সোয়া ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় কোনাবাড়ী এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজকে মহাসড়কে যানবাহন কম, তারপরও শ্রমিকদের মহাসড়কে অবস্থানের কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। শ্রমিকদের শান্ত করে তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা ও মৌচাক এলাকায় শ্রমিকেরা বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় এই কর্মসূচি বন্ধ ছিল। কয়েক দিনে এসব এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি চলাকালে কারখানায় ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে।

সরকারের প্রতি আবেদন

বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ছে। এই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে।

বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাবুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। সরকারের উচিত দ্রুত এই আন্দোলনের সমাধান করা। শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে ন্যূনতম মূল বেতন ২৩ হাজার টাকা করা হোক।”

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (বিটিইউসি) সভাপতি মো. শফিউল আলম বলেন, “শ্রমিকদের দাবি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। সরকারের উচিত এই দাবি মেনে নেওয়া। শ্রমিকদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত