নিজস্ব প্রতিবেদক –
যশোরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক বিরোধে পরিণত করার অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আব্দার হোসেন। একটি পক্ষ সাম্প্রদায়িক খাতে প্রভাবিত করে মালিকানা জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিল আব্দার হোসেন জানান, পৈত্রিক সুত্রে বিগত একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আব্দার হোসেনের পরিবার ভোকুটিয়া গ্রামে হিন্দু মুসলিম মিলে-মিশে বসবাস করে আসছেন। তাদের পৈত্রিক ৮ শতক জমি অজিত গংদের নামে ভুল রেকর্ড হয়। এরপরে ওই জমি একই এলাকার চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মান্নান গং অবৈধ ভাবে দখলে রাখে। আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় ডিক্রি প্রাপ্ত হলে ওই জমি দখল করতে যান আব্দার হোসেন। এ সময় ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক পরিবারকে উস্কে দিয়ে বিষয়টি সাম্প্রদায়িক গোলযোগের দিকে প্রভাবিত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে মান্নান বাহিনী।
তিনি জানান, আদালতের আদেশ জারির পর গত ১০ আগস্ট জারীকারকসহ আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় লোকজন আব্দার হোসেনের পৈত্রিক ৮ শতক জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে আব্দুর মান্নান গং ও মাধাই গং বাঁধা প্রদান করে। এ সময় তারা গাছি দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জারীকারক, চেয়ারম্যানসহ অনান্যদের ঘিরে ধরে। এ সময় তারা আব্দার হোসেনের নিকট ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরিস্থিতি ভয়ানক হওয়ায় তৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে পুলিশ আসার আগেই মান্নান ও মাধাইয়ের বাহিনীর চেয়ারম্যান ও আব্দার হোসেনসহ উপস্থিত থাকা সকলকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এ বিষয়ে আব্দার হোসেন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এবং সেটি বিচারাধীন।
আব্দার হোসেন বলেন, প্রথম থেকেই এই মান্নান ও মাধাই বাহিনী বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করে সংবাদপত্রে ভূয়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর আগে গ্রামের কন্ঠ নামের একটি সংবাদপত্রের নামে মানহানী মামলাও করেছি। তবুও কিছু লোক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনা যাচাই-বাছাই না করেই মান্নান ও মাধাই বাহিনীর পক্ষ নিয়ে সামপ্রদায়িক বিভ্রান্তি ও বিবাদ সৃষ্টি করতে সহোযোগিতা করছে। আমি চাই এ বিষয়টি জোরদার তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা ও সত্য উদঘাটন করে আমরা ন্যায্য জমি আমার দখলে দেওয়া হোক।
