Friday, April 26, 2024

সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মাসাত : ঠিকাদারের ২২ বছরের জেল

যশোরে দুদকের মামলায় মণিরামপুরে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের দায়ে এক ঠিকাদারের পৃথক ধারায় ২২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। ১৮ মে স্পেশাল জজ (জেলা জজ) সামছুল হক এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি খলিলুর রহমান মণিরামপুর উপজেলার কপালিয়া গ্রামের এরশাদ আলী শিকদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
আদালত সূত্র জানায়, খুলনা-যশোর নিস্কাশন পূনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৮০ জন শ্রমিক নিয়ে মণিরামপুরের হরিনদী/শ্রীনদী খনন কাজের জন্য একটি দল গঠন করা হয়। যার নাম দেয়া হয় লেবার কন্ট্রাকটিং সোসাইটি। যার দলনেতা ছিলেন আসামি খলিলুর রহমান। ২০০০-২০০১ অর্থবছরে হরিনদী পুন:খননের জন্য খলিলুর রহমানের দলকে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ প্রকল্পের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় কার্যালয় থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা আসে। কিন্তু খলিলুর রেজুলেশন জাল করে সোনালী ব্যাংক রাজগঞ্জ শাখা থেকে এক লাখ ৭৩ হাজার ৮শ’২৪ টাকা উত্তলন করেন। ওই টাকা উঠিয়ে শ্রমিকদের না দিয়ে আত্মসাত করেন। বিষয়টি নজরে আসে দুদকের। ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো যশোরের সহকারী পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম পৃথক ধারায় মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।
উপসহকারী পরিচালক এসএম বোরহান উদ্দীন খলিলুর রহমানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। সর্বশেষ ১৮ মে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ৪০৬ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড, ৪২০ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড, ৪৬৭ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড, ৪৬৮ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড ও ৪৭১ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
একই সাথে আত্মসাতকৃত একলাখ ৭৩ হাজার ৮শ’২৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় সাজা প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেয়া হয়।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-২০
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত