যশোরে যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন তুহিনসহ ৩ জন জখমের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তুহিনের ভাই দেলোয়ার হোসেন সুহিন। বুধবার গভীর রাতে সাতজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দেন ।
অভিযোগে শহরের রেল রোডস্থ সোনালী ব্যাংকের পেছন এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে সাহেদ উর রহমান রনি, বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার ইমান আলীর ছেলে সবুজ, শংকরপুর হারনা কলোনির শামছুর ছেলে মাহফুজ, আহমেদের ছেলে তাজু, শংকরপুর আশ্রম রোডের তোরাব আলীর ছেলে ইসহাক, জহর আলীর ছেলে সাজ্জাদ ওরফে সাজু ও ষষ্ঠীতলার আব্দুল খালেকের ছেলে মনিরুলের নাম উল্লেখ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন সুহিন উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে আসামি সাহেদ উর রহমান রনি’র নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে শংকরপুর আশ্রম রোডের বাইতুন মামুর জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে মিজান নামে স্থানীয় এক যুবক সাহেদ উর রহমান রনি’র সঙ্গী এক যুবককে ডাক দেন। তখন সাহেদ উর রহমান রনি’র সঙ্গী মাহফুজ এসে মিজানকে কিলঘুষি মারেন। পরে দোলোয়ার হোসেন সুহিনের ভাই কামাল হোসেন তুহিনের কাছে গিয়ে বিচার দেন মিজান। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কামাল হোসেন তুহিন ও সাহেদ উর রহমান রনির মধ্যস্থতায় স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এ ঘটনার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে আসামি সাহেদ উর রহমান রনির নেতৃত্বে সবুজ, মাহফুজ, তাজু, ইসহাক, সাজু ও মনিরুলসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন শংকরপুর আশ্রম রোডে দেলোয়ার হোসেন সুহিনের দোকানের সামনে এসে কামাল হোসেন তুহিনের ওপর হামলা চালান। তারা কামাল হোসেন তুহিনকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। সরে যাওয়ায় তুহিন প্রাণে রক্ষা পান। তবে সেখানে থাকা কামাল নামে একজন ট্রাকচালক বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন। আসামিরা এসময় তুহিনকে কুপিয়ে জখম করেন। তুহিনের ছেলে রোহান এগিয়ে আসলে তাকেও জখম করে। এরপর দেলোয়ার হোসেন সুহিন ভাইকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। এরই মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
রাতদিন সংবাদ
