রাতদিন ডেস্কঃ সাতক্ষীরার মির্জাপুর শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় তেলবাহী ট্রাক ও এম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬। এরমধ্যে গর্ভজাত ও নবজাতক, প্রসূতি মা, জামাতা ও ব্লাড ডোনার রয়েছেন।
আজ বুধবার (১০ মে) দুপুর ৩টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা মির্জাপুর শ্মশান এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রসূতি মা-নবজাতক নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরও একজন। পরে আরও ৩ জন মৃত্যু মিছিলে যোগ দিলেন। ভয়াবহ এই সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতেদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাঞ্চন কুমার রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খলিষানী গ্রামের আলাউল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন (৪০) ও তার গর্ভজাত একজন এবং সদ্যভূমিষ্ঠ একজন শিশু কন্যা, জামাতা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের নেছার উদ্দীনের ছেলে ডালিম (৩০) এবং আশাশুনির উজিরপুরের ব্লাড ডোনার তাজিজুল ইসলাম (২৭) নিহত হয়েছেন।
নিহতের স্বামী আলাউল ইসলাম জানান, তারপর স্ত্রীর গর্ভে জমজ সন্তান ছিলো। বাড়িতে একটি বাচ্চা প্রসবের পর বাচ্চা অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের নেয়া হচ্ছিল। এ সময় মির্জাপুর নামক স্থানে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী মির্জাপুর স্কুলের শিক্ষক সূর্যকান্ত পাল জানান, বেলা ৩টার দিকে সাতক্ষীরাগামী একটি তেলবাহী ট্রাক ও খুলনাগামী এম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলের মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারসহ আরো কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডালিম ও তাজিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত অন্যান্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ও পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মা তার গর্ভজাত ও নবজাতকের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। সাথে সাথে আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা ও খুলনায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান। লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। গাড়ি দুটো আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। হতাহতদের পরিবারে কান্না আর আহাজারীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এমএইচ-১২
