যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে নাজমুল ইসলাম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে জখমের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
নাজমুল বাঘারপাড়া উপজেলাধীন বসুন্দিয়া আরজী বাসুয়ারি গ্রামের আবু তালেব সরদারের ছেলে। আহত নাজমুলের চাচা আলমগীর হোসেনের চাচা সোমবার এ মামলা করেন।
বসুন্দিয়া খানপাড়ার মৃত সেলিম খানের ছেলে আটক ইমামুল ইসলাম নয়ন ও একই এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে রিপন হোসেনকে আসামি করা হয়েছে ।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার ভাইপো নাজমুল রোববার দুপুর ১২টার দিকে বসুন্দিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিল। সে সময় আসামিরা সেখানে গিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজমুলের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে নাজমুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনিত হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে আসামি ইমামুল ইসলাম নয়নকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি চাকুও উদ্ধার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ