Friday, April 26, 2024

ডাকাতি মামলায় সাবেক দু’ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

- Advertisement -

যশোরের বাঘারপাড়ার একটি ডাকাতি মামলায় চাকরিচ্যুৎ দু’ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। তদন্ত শেষে এই চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম।

অভিযুক্তরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের জমাত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের নাজির উদ্দিন শেখের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলামের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ওরফে আব্দুল কুদ্দুস, আমির আলী গোলদারের ছেলে ফজলু গোলদার ওরফে ফজলুর রহমান, মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মৃত নিতাই চন্দ্র দত্তের ছেলে শ্রীরাম প্রসাদ দত্ত ওরফে রাম বাবু, মাগুরার শালিখা উপজেলার গোপাল গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে সোহেল রানা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা শিবতলা এলাকার মৃত ফজর আলী গাজীর ছেলে ওবাইদুল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলার বরুলিয়া গ্রামের অনাথ কুমার বৈদ্যের ছেলে নওমুসলিম ইব্রাহিম, তালা উপজেলার সুজনসাহা এলাকার বিশ্বরঞ্জন ঘোষের ছেলে সন্তু ঘোষ ওরফে পিন্টু, যশোরের শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের আব্দুল গনি বিশ্বাসের ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে কবির হোসেন, চৌগাছা উপজেলার জামালতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে সাবেক এএসআই জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলার শমসপুর গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন মনা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাটিয়া দক্ষিণপাড়ার মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে চাকরিচ্যুৎ পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে বাবু।

মামলার বিবরণে ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১২ আগস্ট ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দাহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন সঙ্গী আশরাফুজ্জামানকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ায় ডাকাতদের কবলে পড়েন। একটি প্রাইভেটকার ও একটি মাইক্রোবাসে করে আসা ডাকাতরা গতিরোধ করে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে নিয়ে যায়। পরে ডাকাতরা তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা লুট করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সুকদেবনগর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে ইকবাল হোসেন ও আশরাফুজ্জানকে ফেলে দেয়। এঘটনায় একটি মাইক্রোবাসসহ চার ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি। এরমধ্যে একজন চাকরিচ্যুৎ পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন বাঘারপাড়া থানায় মামলা করলে তদন্তকালে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতরা ডিবি ও র‌্যাব পরিচয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ডাকাতি করে বেড়ায়। মূলত ডাকাতরা পাচারকারীদের কাছ থেকে সোনারবার লুট করে থাকে। ইকবাল হোসেনদের গাড়িতে সোনা রয়েছে এমন তথ্য পেয়ে ডাকাতরা তাদের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু ওই গাড়িতে লুব্রিকেন্ট ছিল।

এক পর্যায়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে,ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী যশোরের চৌগাছা উপজেলার জামালতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে চাকরিচ্যুৎ পুলিশের এএসআই জসিম উদ্দিন। পরে তার চৌগাছা বাজারের বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে আটকে ব্যর্থ হয় ডিবি পুলিশ। তবে, বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত আরও সাতজনকে আটক করা হয়।

এছাড়া, তদন্তে ডাকাতি, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী হিসেবে আরও আটজনের নাম প্রকাশ পায়। এরপর মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ।

রাতদিন সংবাদ/আর কে-২৩

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত