যশোর শহরের শংকরপুর চাতালের মোড়ে আফজাল শেখ হত্যা মামলার সন্ধিগ্ধ দুই আসামিকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, নীলগঞ্জ তাতীপাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন ওরফে ফয়সাল হোসেন অভি ও একই এলাকার কাশেম আলীর ছেলে আহাদ হোসেন। মঙ্গলবার এ মামলার আরেক আসামি নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার জিন্নাত আলীর ছেলে সুজন ওরফে টেরা সুজনকে রিমান্ডে নেয়ার পর আটক এ দুই আসামির হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে বলে আদালত ও সিআইডি পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছেন। নিহত আফজাল ওই এলাকার সলেমান শেখের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, টেরা সুজন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। নিহত আফজাল হোসেন মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করে টেরা সুজনকে। এ নিয়ে আফজালের সাথে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। গত ২৯ মে আফজাল ও প্রতিবেশী সুমন শংকরপুরের জিরোপয়েন্ট থেকে দুধ কিনে বাড়ি ফিরছিল। সিটি মডেল স্কুলের সামনে পৌছালে টেরা সুমনের নেতৃত্বে আফজালকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আফজালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা সলেমান শেখ বাদী হয়ে টেরা সুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামালায় বিভিন্ন সময়ে আটক টেরা সুজন, জাহিদ, মিলন ও বিপ্লব গাজীর পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার আসামিদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক টেরা সুজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকিদের রিমান্ড নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন। পরে সিআইডি পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ট্যারা সুজন স্বিকার করে এ হত্যার সাথে অভি ও আহাদ জড়িত রয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাতদিন সংবাদ
আর কে-০৭