গত ১৫ ডিসেম্বর যশোরের চাঁচড়া মধ্যপাড়া (মল্লিকপাড়া) আইনজীবী মফিজুর রহমান কাবিলের দায়েরকরা মামলায় বাড়ি ভাংচুর বা টাকা লুটের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আসামি বাবলু ও তার পরিবারের লোকজন।
ছোট বাচ্চাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে আইনজীবী কাবিল আসামি বাবলুর শিশুপুত্র হাফিজকে (৮) ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে।এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এই বিষয়টিকে আইনজীবী কাবিল তার বাড়িতে হামলা ভাংচুর এবং টাকা লুটের মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পুলিশ আইনজীবীর অভিযোগটি মামলা হিসাবে নিলেও বাবলুর অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে আইনজীবী মফিজুর রহমান কাবিলের দায়েরকরা মামলার আসামি রিয়া বেগমকে আটক করছে পুলিশ। রিয়া ওই এলাকার মানিক ড্রাইভারের স্ত্রী।
বাবলুর স্ত্রীর সালমা বেগমের অভিযোগ, ঘটনার দিন বাড়ির পাশে খেলাধুলার সময় তার ছেলে হাফিজ ও আইনজীবী কাবিলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে কাবিল ও তার পরিবারের লোকজন শিশু হাফিজকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে এবং মারপিট করে। সে সময় শিশু হাফিজ কান্নাকাটি করলে হাফিজের পিতা ও তার পরিবারের লোকজন সেখানে যায়।
এ সময় কাবিল ও তার স্ত্রী বাবলুকে মারপিট করে। বাবলুর সাথে যাওয়া তারেক শেখকেও মারপিট করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে শিশু হাফিজসহ তাদের উদ্ধার করে। পরে বাবলু যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এলাকার লোকজন জানিয়েছে, আইনজীবী কাবিলের ছেলে রাজ্জাক ও বাবলুর ছেলে হাফিজের সাথে খেলাধুলা নিয়ে গোলযোগ বাঁধে। সেই সূত্রে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারি হয়। লুট বা ভাংচুরের কোন ঘটনা নেই।
এদিকে আইনজীবী কাবিলের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, ৫জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন আইনজীবী কাবিল। সেই মামলার আসামি রিয়া খাতুনকে আটক করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এদিকে সালমা বেগমের দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি।সালমা বেগমের অভিযোগ করা প্রসঙ্গে এস আই হারুন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
বিশেষ প্রতিনিধি
- Advertisement -