মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেশবপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

জাকির হোসেন, কেশবপুরঃ কেশবপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে বর্তমান কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিলুপ্তপ্রায় লাঠি খেলা। এই খেলায় অংশগ্রহণ করে মাগুরা ও শ্রীপুর একাদশ। লাঠি খেলা দেখতে হাজারো মানুষের ভীড় জমান। বিশেষ করে শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এলাকার মানুষের বিনোদনের খোরাক যুগিয়েছে এই লাঠি খেলা। কিন্তু কালের বির্বতনে মানুষ ভুলতে বসেছে এই ঐতিহাসিক লাঠি খেলা। ঢাক-ঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে যেন এ আনন্দময় উৎসব আয়োজন। আর কাঁসার ঘন্টার তালে তালে চলতো লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন শত শত দর্শক।আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। লাঠি খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন দর্শকরা। যুবসমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখতে পারে কার্যকরী ভুমিকা মত আয়োজক সংশ্লিষ্টদের। নিয়মিত এই ধরনের আয়োজনের দাবি দর্শকদের। খেলা দেখতে আসা সুমন,রহিম, করিম বলে দীর্ঘদিন পর পাবলিক মাঠে লাঠি খেলা উপভোগ করতে পেড়ে অনেক আনন্দিত। মনিরামপুর উপজেলা আটঘরা গ্রাম থেকে দেখতে আসা জাহঙ্গীর, হারুন বলেন বৃদ্ধদের পাশাপাশি যুবকদের লাঠি পরিচালনা দৃশ্য তাকে মুগ্ধ করে। তারা এই প্রথম লাঠি খেলা উপভোগ করচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন, উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতু রাজ সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য অফিসার সজীব সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, সমাজ থেকে অন্যায় অপরাধ দূর করতে আর হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই আয়োজন। বিপথগামী যুব সমাজের মাদকাসক্ততা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে লাঠি খেলার মত আয়োজন পথ দেখাবে, যুক্ত করবে সম্প্রতির বাঁধনে।