Saturday, May 4, 2024

নদীতে দু’পা বাঁধা স্কুল ছাত্র

- Advertisement -

‘প্রথম মনে করছি ডুবোয় ডুবোয় মাছ ধরছে। কারণ একবার ভাসছে আবার ডুবে যাচ্ছে। ডাক দেই কিন্তু, কথার উত্তর দেয় না। কাছে এগিয়ে যাই। তখন মনে হলো ভাব খারাপ। লাফ দিয়ে তাকে ধরে ডাঙ্গায় তুলে আনি। দেখি দু’পা বাঁধা। তারপর লোকজনকে ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ এভাবেই ঘটনার বর্ণনা করছিলেন মধুমতি নদীতে ইলিশ ধরতে যাওয়া জেলে ফারুক মোল্যা। এই জেলের কারণেই প্রাণে বেঁচে গেলো সবিজ শেখ নামে এক স্কুল ছাত্রের প্রাণ। চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক এ ঘটনাটি মাগুরার মহম্মদপুরের। শুক্রবার রাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সিন্দাইন গ্রামের ইলিয়াস মোল্যার মেয়ে আমেনা খাতুনের বিয়ে হয় পাশর্^বর্তী মুরাইলের চরের নায়েব শেখের সাথে। তাদের ছেলে সজিবের সাত মাস বয়সের সময় বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে আমেনা খাতুন ছেলেকে নিয়ে সিন্দাইন গ্রামের বাবার বাড়িতে থাকেন। মায়ের উপর অভিমান করে তিন বছর আগে সজিব শেখ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে যায়। উপজেলার বসুরধুলজুড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং সিন্দাইন গ্রামের রাজিব মোল্যার ভাগ্নে সজিব শেখ পাশর্^বর্তী কাশিপুর গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে প্রেমজ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন। মেয়ে পেক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে এ বিষয়ে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। ছেলে ওই মেয়ের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখবে না এবং বিরক্ত করবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। এদিন বিকালে চুল ছাটানোর জন্য শিরগ্রাম বাজারে যায় সজিব শেখ। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। সন্ধ্যার পর ইলিশ মাছ ধরতে যাওয়া ফরুক মোল্যার নজরে আসে মধুমতি নদীতে সজিব শেখের হাবুডুবু খাওয়ার বিষয়টি। তিনি প্রথমে মনে করেছিলেন-কেউ হয়তো ডুবিয়ে মাছ ধরছে। কিন্তু ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তার সন্দেহ হয়। এগিয়ে গিয়ে লাফিয়ে পড়েন পানিতে। সজিবকে পানি থেকে টেনে তোলেন ডাঙ্গায়। তখন সজিবের দু’পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিলো। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সজিব এখনো চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো কথা বলতে পারছে না। প্রেমজ সম্পর্কের কারণে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সজিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে দড়ি দিয়ে তার দু’পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছিলো বলে অনেকে মনে করলেও পুরো বিষয়টি রহস্যাবৃত। এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।’

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত