মাগুরা পুলিশসুপারের কার্যালয় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে ১০ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩শ’৪৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরা জেলা পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সোমবার যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন,সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার এসআই হাসিনা খাতুন,এসআই সবুর আলম খান, যশোর পুলিশ লাইন্সের এসআই মাহাবুব আলম, মাগুরা পুলিশ লাইন্সের অবসরপ্রাপ্ত এসআই সাইফুল ইসলাম ও টিএসআই খান মো. আব্দুল হাই, এএসআই আতিয়ার রহমান ও শাহ আলম গাজী। এছাড়া মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সের হিসাবরক্ষক শরিফুজ্জামান, মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ ও ফিন্যান্স কর্মকর্তা জি এম জিল্লুর রহমান, ফিন্যান্স কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও সরকার রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের অডিটর আজমল হোসেন, আব্দুল লতিফ মিঞা, রথিন বিশ্বাস, ফজলুর শহিদ ও শেখ আব্দুস সালাম, মাগুরা জেলা পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল গাজী মশিউর রহমান, ফিরোজ হোসেন, শিপন মৃধা, তাসলিমা খাতুন, হালিমা, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কৃষ্ণপদ বিশ্বাস,আকবর আলী ও আবুল কাশেম ছাড়াও নড়াইলের বাসিন্দা আজমল মুন্সি ও মাগুরার বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা এবং সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ওয়াজেদ আলী।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মাগুরা পুলিশসুপারের কার্যালয় থেকে কথিত জিপিএফ, ল্যাম্প গ্র্যান্ট, ডিপোজিট এগেইনেস্ট সাপ্লাইজ অ্যান্ড ওয়ার্ক নামে বিল মাগুরা জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে প্রেরণ করে নয়জনের নামে ৮১টি অ্যাকাউন্ট পে চেক ইস্যু করার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
বিশেষ প্রতিনিধি