Monday, April 29, 2024

মণিরামপুরে ফ্রি-ফায়ার-পাবজি গেমে আসক্ত সিংভাগ শিক্ষার্থী

- Advertisement -

শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর॥ করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে মণিরামপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে স্কুল-কলেজগামী সিংহভাগ শিক্ষার্থীরা ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রায় পরিবারে স্মার্ট ফোন রয়েছে। এ সুযোগে বেলা উঠার সাথে সাথে গেমে আসক্ত শিক্ষার্থীরা দলবেধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায়, নদীর তীরে কিংবা ঝোপের মধ্যে এসব খেলায় মত্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
বিত্তবান থেকে দরিদ্র সব শ্রেণির সন্তানের এ খেলায় মগ্ন হতে দেখা যাচ্ছে। এটি দিনকে দিন মাদক আসক্তের চেয়েও ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। তাদের নিয়ন্ত্রনে অভিভাবকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপরোন্ত অভিভাবকরা বাঁধা দিলে গেমে আসক্ত শিক্ষার্থীরা বাড়ির দামী আসবাবপত্র ভাংচুরসহ অনেকই আত্মহত্যার হুমকী দিচ্ছে। সামাজিক মান মর্যাদা ও আত্মসম্মানের ভয়ে অনেক অভিভাবক অন্যের কাছে এসব নিয়ে কথা বলতে পারছেন না। নিরবে-নিবৃতে মেনে নিতে হচ্ছে সন্তানের অন্যায় দাবি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের কন্দোপপুর গ্রামের এক অভিভাবক জানান, তার ছেলেটি সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ায় ভাল ফলাফল করলেও এখন পড়ালেখায় মন নেই। পরে জানতে পারেন এলাকার আরও ২৫/৩০ জন ছেলের সাথে তার সন্তান মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
আরেক অভিভাবক বলেন, তার ছেলে টাকা চুরি করে নিয়ে ফ্রিফায়ার গেম খেলে শেষ করেছে। এভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা এ খেলায় নষ্ট করেছে।
উপজেলার হোগলাডাঙ্গা ঋষি পল্লীর এক ভ্যান চালক বলেন, ভ্যান চালানো কষ্টের টাকা দিয়ে গেম খেলার জন্য প্রতিনিয়ত তার সন্তানকে মোবাইলের নেট কিনে দিতে হয়।
আরেক অভিভাবক বলেন, শুধু বেলা উঠার পর নয়, রাতে খাবারের পর তারা ঘুমিয়ে গেলেও স্কুল পড়–য়া সন্তান ঘর থেকে শব্দ বাইরে না যাওয়ার জন্য সিলিং ফ্যান অধিক গতিতে দিয়ে এ খেলায় মগ্ন হয়ে যায়। ভুক্তভোগী অভিভাবকসহ সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে এ গেম যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত