আদালত চত্বরের প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য শিক্ষানবীশ আইনজীবী ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে শোকজ করেছে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি। অভিযোগের বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাকে। অন্যথায় বারকাউন্সিলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সুপারিশসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন স্বাক্ষরিত এক কারণ দর্শানো নোটিশে এসব বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র আইনজীবী তাজমিলুর রহমান সরদার স্বপন জেলা আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, ইদ্রিস সমিতির মনোগ্রাম ব্যবহার করে অ্যাডভোকেট শিক্ষানবীশ, জজ কোর্ট উল্লেখ করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছে, যা অনৈতিক। ইতিপূর্বে ইদ্রিসের বিরুদ্ধে একাধিক প্রফেশনাল মিস কনডাক্ট অপরাধসহ পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট সিনিয়রের সাথে থেকে মামলার বিষয়ে সহযোগিতা করার কথা থাকলেও ইদ্রিস নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে ইচ্ছেমতো আইনজীবী নিয়োগ করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তার আচরণে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় ইস্যুকৃত কার্ড বাতিল করাসহ প্রতারক হিসেবে কেন অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবেনা তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য,কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর ছত্রছায়ায় থেকে ইদ্রিস নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। একেরপর এক অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। এসব বিষয়ে রাতদিন নিউজ একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাম্প্রতি তার এক সহকারী তানিয়াকে আটক করে পুলিশ। এরপর আদালত চত্বরে যাওয়া বন্ধ করে দেন ইদ্রিস। কিন্তু আসা যাওয়া অব্যাহত থাকে ১ নং আইনজীবী সমিতির তিনতলার ‘সেই’ কক্ষে। শেষ পর্যন্ত ওই কক্ষের আইনজীবীরাও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিতে দেখা যাচ্ছে টাউট ইদ্রিসকে।
রাতদিন সংবাদ