Saturday, May 4, 2024

সাত মাস ধরে বেতনহীন কুষ্টিয়া চিনিকল, পাওনা নিয়ে উদ্বেগে চাষিরা

- Advertisement -

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:লোকসানের কবলে পড়া কুষ্টিয়া চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা গত সাত মাস ধরে বেতনভাতা পাচ্ছেন না। এর পাশাপাশি চিনিকলে আখ দেওয়া কৃষকরাও তাদের পাওনা টাকা পাচ্ছেন না। চাষিদের কাছে তিন কোটি পাঁচ লাখ টাকা দেনা রয়েছে মিলের। এই অবস্থার মধ্যে চাষিরা আবার আখ রোপণ করেছে। কিন্তু চলতি বছর মিলে আখ মাড়াই না হলে, মিল বন্ধ হয়ে গেলে- এই বিপুল পরিমাণ আখের কী হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠা-উদ্বেগে আছে চাষিরা।তবে মিলে অবিক্রিত রয়েছে ২১ কোটি টাকার চিনি আর পাঁচ কোটি টাকার চিটাগুড়।

সর্বশেষ ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে এই মিল থেকে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা লাভ হয়। ২০০১ সাল থেকে লোকসানের মুখে পড়ে মিলটি। এরপর প্রতি বছরই লোকসানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত ১৯ বছরে ৪৬১ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে মিলটি। আর গেল মৌসুমে ৬১ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত লোকসানের ফলে বন্ধ হতে চলেছে কুষ্টিয়া চিনিকল।এভাবেই নানা সংকটে বন্ধের পথে কুষ্টিয়া চিনিকল। এখন অর্থ সংকটে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মিলটিতে বর্তমানে ৬০০ শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে। গত সাত মাস ধরে বেতন না পেয়ে মহামারি করোনার এই সময়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা।দীর্ঘদিন ধরে আখ বিক্রির পাওনা অর্থ পান না আখচাষিরা। কুষ্টিয়া চিনিকল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন খবর শুনে প্রতিদিন মিলগেটে ভিড় করছেন তারা। পাওনা টাকাসহ চলতি মৌসুমে জমিতে লাগানো আখ বিক্রি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা।দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত লোকসানের ফলে বন্ধ হতে চলেছে কুষ্টিয়া চিনিকল।এদিকে, মিল চালু রাখার পাশাপাশি বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কুষ্টিয়া চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীরা।কুষ্টিয়া সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মুন্সী মোহাম্মদ খলিল বললেন, ‘লোকসানের কারণে দেশের যে ছয়টি চিনিকল বন্ধের প্রক্রিয়া চলছে তার মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকল অন্যতম। আখ চাষিদের কাছে তিন কোটি পাঁচ লাখ টাকার দেনা রয়েছে মিলের। পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ২১ কোটি টাকার চিনি আর পাঁচ কোটি টাকার চিটাগুড় অবিক্রিত রয়েছে। এগুলো বিক্রি হলে কৃষকের দেনা পরিশোধ করা সম্ভব হবে।’দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত লোকসানের ফলে বন্ধ হতে চলেছে কুষ্টিয়া চিনিকল।এ ছাড়া পুরনো মিলটির আধুনিকায়ন করা হলে আবারো লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা।কুষ্টিয়া জেলা শহর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে জগতিতে ১৯৬১ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় চিনিকলের।  কাজ শেষ হয় ১৯৬৫ সালে। আর ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে এটি চিনি উৎপাদন শুরু করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।এই বৃহদায়তন ভারী শিল্প-কমপ্লেক্সটি চিনি কারখানা, বাণিজ্যিক খামার ও জৈব সার কারখানা এবং অফিস ও আবাসন ভাবনের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে চিনি মজুদ করে রাখার জন্য দুটি গুদাম রয়েছে; যার প্রতিটিতে সাড়ে ছয় হাজার টন চিনি রাখা যায়। মিলের দৈনিক আখ মাড়াই ক্ষমতা এক হাজার ৫২৪ টন এবং উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার টন। মিলকে ঘিরে মেডিকেল সেন্টার, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, ব্যাংক ও রেলস্টেশন প্রতিষ্ঠা হয়। হাজার হাজার মা

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত