যশোরের চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সুদখোর লাকির করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি যশোর জোন। আদালতের নির্দেশে সিআইডি কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার সিআইডি কর্মকর্তারা মামলার বাদী লাকি ও ভুক্তভোগী আলেয়া সুলতানা আলোকে পৃথক সময়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডাকেন। অথচ ধুরন্ধর লাকি সিআইডি কর্মকর্তাদের ডাকে সাড়া দেননি। ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, আজ বুধবার খোলাডাঙ্গা গ্রামে যশোরের একটি মানবাধিকার সংস্থার সাতজন আইনজীবী তদন্তে যাবেন। এ বিষয়ে সিআইডি যশোর জোনের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে লাকির করা মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি জানান, দু’পক্ষকে মঙ্গলবার ডাকা হয়েছিল। এরমধ্যে আলো ও তার স্বামী দেখা করেছেন। মামলার বাদী জাকিয়া সুলতানা লাকিকে ডাকা হলেও তিনি ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে হাজির হননি। তিনি জানান মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে। যশোরের চার সাংবাদিকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করায় ফুঁসে উঠেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গার চিহ্নিত সুদখোর স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা লাকির সুদে কারবার সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর তিনি দৈনিক গ্রামের কাগজ ও দৈনিক যশোর পত্রিকার সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকসহ চারজন সাংবাদিকের নামে আদালতে মামলা করেন। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
রাতদিন সংবাদ