যশোর বাঘারপাড়া আদমপুর গ্রামের বিজিবি সদস্য ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। তিনি আদমপুর গ্রামের মৃত ওমর মোল্লার ছেলে। হাবুল্লাহ গ্রামের নাজমুল হক মুন্নাকে ফারুকের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী মোটরসাইকেল কেনাবেচার মধ্যস্থ্যকারী বহরামপুরের মাসুদ হোসেন । দীর্ঘদিন হলেও ফারুক মোটরসাইকেলের কাগজপত্র বুঝে দিচ্ছেনা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে । জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান অভিযোগটি গ্রহন করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মামলার বাদী মাসুদ হোসেন ও আসামি পরস্পর আত্মীয়। আসামি ফারুক হোসেন একটি ১০০ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেল ( যার নম্বর- যশোর-হ-১৩-১৫০৮) বিক্রি করবেন বলে মাসুদ হোসেনকে জানান। মাসুদ হোসেন তার পূর্ব পরিচিত আব্দুল আলীমের মাধ্যমে নাজমুল হক মুন্নুর কাছে মোটরসাইকেলটি বিক্রির প্রস্তাব করেন । ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর মোটরসাইকেটি দেখে পছন্দ হওয়ায় মুন্নু ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এ সময় আসামি ফারুক হোসেন মোটরসাইকেলের কাগজপত্রে মালিকানা পরিবর্তনের কথা বলে কাগজপত্র নিজের কাছে রেখে দেন। এরপর ফারুক হোসেন সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি কাগজপত্র না দিয়ে তালবাহানা করে। এরপর ক্রেতা মুন্নু মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না পেয়ে মধ্যস্থকারী মাসুদ হোসেনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।এরপর রোববার মধস্ততাকারী মাসুদ হোসেনও বিক্রেতা ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
রাতদিন সংবাদ