নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ সময় ফখরুল বলেন, “বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছেও অসহায়। আজকে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে পরাজিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ব্যক্তিকে জেতাতে অন্য এক প্রার্থীকে গুম করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের জাতির অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। সেই লক্ষ্যেই আমরা দশ দফা ও ২৭ দফা প্রণয়ন করেছি। এর মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে যে তারা একটি দাবিকে আন্দোলন করছে। সেটা হলো এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ। আমরা বলে আসছি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আজকে সরকার টিকে আছে চাপার জোরে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তারা একদিকে ঋণ করছে, আরেকদিকে জনগণের পকেট কাটছে। আজকে তারা জনগণের দিকে তাকায় না। দেশ এখন লুটেরাদের কবলে পড়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সব গণমাধ্যম বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আজও আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে দমাতে পারবে না।”
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবিতে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে।
বিএনপি ছাড়াও সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অনলাইন ডেস্ক







