জালজালিয়াতি করে ভুয়া রি-কল দিয়ে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এবার সেই সমালোচিত আইনজীবী সহকারী রাজু খাঁর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার যশোর সদরের ফতেপুর গ্রামের জোহর আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দলাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ। আসামি রাজু খাঁ সদরের ফতেপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী খাঁর ছেলে। এর আগে এ বিষয়ে জোহর আলী কোতোয়ালি থানায় ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে ১০ নভেম্বর ফতেপুর গ্রামের রসুল মোল্যা বাদী হয়ে জোহর আলীসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালতের আদেশে পিবিআই জোহর আলীসহ ১০ জনকে ১৪৩/৩২৩ ধারায় অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। জোহর আলী আসামি মুহুরী রাজু খাঁর সাথে যোগাযোগ করে জামিন হওয়ার জন্য। এ সময় আসামি রাজু তাকে জানায় এক লাখ টাকা খরচ করলে মামলায় জমিন হওয়া লাগবেনা ও খালাসের অর্ডার পেয়ে যাবেন বলে জানান। ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মামলা আসামি রাজুকে এক লাখ টাকা দিলে একটি রি-কল দেন জোহর আলীকে। রি-কলে ১০ আসামির নাম লিখে মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হলো বলে উল্লেখ করা থাকে। এরমধ্যে এ মামলায় হাজির না হওয়ায় আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এ সংবাদ পেয়ে তিনি আদালতে এসে রি-কলের কপি পেশকারকে দেখিয়ে জাল বলে নিশ্চিত হন। আসামির সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
এদিকে, আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায় এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ দিলে রাজুকে শোকজ করা হয়। একই সাথে তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু মাস পেরোলেও এখতি তিনি জবাব দেননি।
এদিকে, আইনজীবী সহকারীরা বলছেন, এই রাজুখার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি নিয়মিত আদালত প্রাঙ্গনে এসে কখনো আইনজীবী সহকারী আবার কখনো নিজেকে রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে থাকে। তারা দ্রæত এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবী সহকারী সমিতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রাতদিন সংবাদ