মোটরসাইকেল আটকে রেখে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি ও ক্রস ফায়ারের ভয় দেখানোর অভিযোগে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সদস্য নায়েক রায়হানের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। দেড় মাস আগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা লিটন নামে এক প্রাইভেটকার চালক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অভিযুক্ত নায়েক রায়হান ৪৯ ডি বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি একজন প্রাইভেটকার চালক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে এলাকার শিকড়ী মালিপোতা গ্রামের বাসিন্দা গ্যারেজ মিস্ত্রি মোস্তাকিমকে বাড়িতে পৌছে দেয়ার জন্য লিটনের নিজস্ব অ্যাপাচি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন।
প্রথিমধ্যে শিকড়ীবটতলা নামক স্থানে পৌছানো মাত্র বিজিবি সদস্য নায়েক রায়হান একটি তল্লাশি চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি গতিরোধ করেন।
এ সময় লিটনের কাছে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড, একটি মোবাইল ফোনসেট এবং লিটনের মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পরে গ্যারেজ মিস্ত্রি মোস্কাকিনকে ছেড়ে দিলেও লিটনকে আটকে রাখে। কিছু সময় পরে লিটনকে তার মোটরসাইকেল ও দুইটি মোবাইল ফোন রেখে ছেড়ে দেয় এবং পরে যেতে বলে।
এরপর গত ৩ অক্টোবর সেখানে যান লিটন। সেদিনে শুধু মোবাইল দুইটি ফেরৎ দিলেও মোটরসাইকেলটি রেখে দেয়। কিন্তু ১৫ দিন পর আবার দেখা করতে বলে লিটনকে। ওই তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে নায়েক রায়হান। টাকা দিতে অস্বীকার করায় লিটনকে সোনার বার, অস্ত্র অথবা মাদক দিয়ে মামলা দেয়ার ভয় দেখান রায়হান।
এক সপ্তাহ পরে আবারও গেলে মোটরসাইকেলটি কাস্টমসে জমা দেয়ার কথা জানায় রায়হান। সবশেষে রোববার মামলা করেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন।
তবে এই ব্যাপারে অভিযুক্ত নায়েক রায়হান বলেছেন, লিটন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। তারবিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে লিটন ইয়াবা নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল। ধাওয়া করলে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে তিনি বিষয়টি উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে জানান। ওই মালামাল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়। এরপর থেকেই লিটন তাকে নানা ভাবে হয়রানী করছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-১৬