বিপুল পরিমান ভেজাল সার গুদামজাত ও বিক্রির দায়ে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ীয়া বাজারের এক সার ব্যবসায়ীকে তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই ব্যবসায়ীকে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১৭(৩) ধারা মোতাবেক তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। এ সময় আনুমানিক ৮শতাধিক বস্তা ভেজাল সার সহ এ ব্যবসায়ীর গুদাম সিল গালা করা হয়।পরীক্ষার পর ভেজাল সার প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সোমবার দুপুরে পবিত্র সাহা নামের ওই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দেন। এসময় এ গুদাম থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল সার জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে টের পেয়ে অপর ব্যাবসায়ী প্রসিত সাহা সিটকে পড়েন।স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের (পবিত্র সাহা) দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নারিকেলবাড়িয়া বাজারে সারের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি আসল সারের পাশাপাশি ভেজাল সারও বিক্রি করেন। সম্প্রতি ভেজাল সার তাঁর গুদামে রাখা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজের কাছে অভিযোগ যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওই দোকানে গিয়ে ভেজাল সার রাখা এবং বিক্রির বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ সময় গুদামে মজুত সারের বস্তা থেকে টিএসপি ও পটাশ সারের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনা পরীক্ষায় জানা যায়, এগুলো ভেজাল সার। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত (পবিত্র সাহা) উপস্থিতিতে গুদামে মজুতকৃত বিপুল পরিমান ভেজাল সার জব্দ করে। অপরাধ স্বীকার করায় ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আফরোজ তাঁকে(পবিত্র সাহা) তিন মাসের কারাদন্ড দেন।বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এসব ভেজাল সার জমিতে ব্যবহারের ফলে কৃষকের ফলনে কোনো লাভ হয়নি বরং চাষিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও তানিয়া আফরোজ বলেন, সারের নমুনাতে ৪৬ শতাংশ টিএসপি থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে রয়েছে শূন্য শতাংশ। এবং মিউরেট অব পটাশ এর ক্ষেত্রে একই অবস্থা। অর্থাৎ জব্দকৃত পুরো সারই ভেজাল।
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি







