সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধি: দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু প্রস্তুতী শেষ করা হয়েছে গত আগস্টে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মিত হয়েছে। টোল হারও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান। প্রকল্প ব্যবস্থাপক নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান জানান, গত আগস্টে কালনা সেতুর মূল কাজ শেষ করা হয়েছে। সেতুতে এখন বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের কাজ চলছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্ধোধনের তারিখ ঘোষণার অপেক্ষা । আর এই তারিখ ঘোষনার অপেক্ষায় আছেন সেতু কর্তৃপক্ষসহ নড়াইল, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসি। অপেক্ষায় আছেন যাত্রীবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহন সংশ্লিষ্টরা। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে অক্টোবরের যে কোনো দিন সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে তিনি এ কথা বলেন। টোল হার নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কালনা সেতুর টোল হার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে বড় ট্রেইলার ৫৬৫টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সসেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০টাকা, দুই এক্সসেল বিশিষ্ট মিডিয়াম ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০টাকা, কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫ টাকা, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা, মিনিবাস বা কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকাপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রে-কার ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, অটোটেম্পু, সিএনজি অটোরিক্সা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫ টাকা, মোটর সাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্সা, ভ্যান ও বাইসাইকেল পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টোল আদায়ের জন্য এখনও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রস্তুত হয়নি। এজন্য প্রায় একমাস সময় লাগবে। আপাতত: উদ্বোধনের পর ম্যানুয়্যাল পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। পরবর্তীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায়ের কাজ সম্পন্ন হলে পারেটরের মাধ্যমে টোল আদায় হবে।







